এসব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পাঁচদিনের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করতে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই ছিল এই সময়সীমার শেষ দিন।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুজ্জামান এবং স্যানিটারি ইনসপেক্টর নিয়ামত আলী সরেজমিনে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি সেটি রিপোর্ট আকারে যশোরের সিভিল সার্জনের দপ্তরকে জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহরের মোট ১১টি প্রাইভেট ক্লিনিকের মধ্যে ডিভাইন গ্রুপের মালিকানাধীন ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল এবং সোহরাব হোসেন উজ্জ্বলের মালিকানাধীন মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর মধ্যে ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল ৫ জুলাই নতুন বছরের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। আর ইসলামী হাসপাতাল মালিকানা জটিলতায় বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া আওয়াল হোসেন জুয়েলের মালিকানাধীন কপোতাক্ষ ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন শেষ হয়েছে ২০১৪ সালের ৩০ জুন। ২০১৬ সালের ৩০ জুন নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে চৌগাছা হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মফিজুর রহমানের মালিকানাধীন মায়ের দোয়া প্রাইভেট হাসপাতাল ও গ্রাম্য চিকিৎসক মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন পল্লবী ক্লিনিকের।
২০১৭ সালের ৩০ জুন নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে যৌথ মালিকানাধীন নোভা এইড প্রাইভেট হাসপাতালের। নবায়ন নেই ডিভাইন গ্রুপের মালিকানাধীন ডা. আনিছুজ্জামান, নাহার কল্যাণ সংস্থারও। তাদের নবায়ন শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের জুন মাসে। তবে এ ছয়টি ক্লিনিকেরই লাইসেন্স বিগত বছরগুলোতে নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করা আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের মালিকানাধীন ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মহেশপুর হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান শামছুর রহমানের মালিকানাধীন ডক্টরস প্যাথলজি এবং চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আওরঙ্গজেবের (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কর্মরত) বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো লাইসেন্সই নেই। তিনটি প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন ধরে চৌগাছায় ব্যবসা করে আসছে। এর মধ্যে ডক্টরস প্যাথলজি ও বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের সকল পরীক্ষা এবং ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুধুমাত্র আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। তবে এদের মধ্যে ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য নেয়া হয়েছে। এদের কোনোটিরই লাইসেন্স নবায়ন নেই। তবে ডা. আনিছুজ্জামান হাসপাতাল নতুন বছরের জন্য গত ৫ জুলাই অনলাইনে আবেদন করেছেন।
এছাড়া তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনোটিরই লাইসেন্স নেই। তাদের সবাইকেই পাঁচদিনের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই সময়সীমার পর যেকোনো সময় অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র পাওয়া না গেলে সেগুলো সিলগালা করে দেয়াসহ যেকোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের জানানো হয়েছে।